দক্ষিণ সুরমা থানা গঠিত হয় ১৯৮৩ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ২০০৫ সালে। ২৯ জানুয়ারি ২০০৫ তারিখে অনুষ্ঠিত নিকার-এর ৯১তম বৈঠকে সিলেট জেলার সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন হতে ০৯টি ইউনিয়ন যথাক্রমে ১) মোল্লারগাঁও ২) বরইকান্দি ৩) তেতলী ৪) কুচাই ৫) সিলাম ৬) লালাবাজার ৭) জালালপুর ৮) মোগলাবাজার ৯) দাউদপুর ইউনিয়নসমূহকে কর্তন করে এগুলো সমন্বয়ে দক্ষিণ সুরমা নামে একটি নতুন প্রশাসনিক উপজেলা গঠন করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এর ৩ (২) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সিলেট জেলার সদর উপজেলার উক্ত ইউনিয়নসমূহের সমন্বয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ৩০ জুন তারিখ মোল্লারগাঁও ও তেতলী ইউনিয়নের অংশ বিশেষের সমন্বয়ে কামাল বাজার ইউনিয়ন সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার আয়তন ১৯৫.৪০ বর্গ কিলোমিটার যার বর্তমান ইউনিয়ন সংখ্যা ১০টি।
ভৌগলিক অবস্থান ও আয়তন
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার আয়তন: ১৯৪.২৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৩´ থেকে ২৪°৫৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪৭´ থেকে ৯১°৫৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে সিলেট সদর উপজেলা, দক্ষিণে বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে গোলাপগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জ উপজেলা। সিলেট জেলা হতে মাত্র ০৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করার কারণে এই উপজেলার ০৪ নং কুচাই ইউনিয়নে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ এর কার্যালয়, সিলেট শিক্ষা বোর্ড ভবন, কারিগরি মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের দপ্তর এই উপজেলায় অবস্থিত হওয়ায় প্রশাসনিক ভাবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। নবসৃষ্ট এই উপজেলাটি মোগলাবাজার ইউনিয়নে অবস্থিত।
উপজেলা:
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা শহর | জনসংখ্যা গ্রাম | (প্রতি বর্গ কিমি) |
– | ৯ | ১০২ | ৩২৬ | – | ১৮৮৬৭৩ | ৯৭১ |
ইউনিয়ন সমূহের তথ্য:
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | পুরুষ | মহিলা | শিক্ষার হার (%) |
কুচাই ৪৫ | ৪০২১ | ৭৩১১ | ৬৫৮৮ | ৬০.৩৩ |
জালালপুর ৩৭ | ৭৯০৩ | ১৩৭৩৫ | ১৩৩৬৮ | ৫২.৩১ |
তেঁতলি ৮৫ | ৩৫৪৪ | ১০২৫৩ | ৯৮৯৪ | ৫৯.৯৪ |
দাউদপুর ৩০ | ৬৭১৭ | ১১৭৬২ | ১০৬৪৯ | ৫৬.০২ |
বরইকান্দি ৩৬ | ২৪৪০ | ৭৮৯৪ | ৭১০৩ | ৬৪.০২ |
মোগলা বাজার ৬০ | ৯৩৭০ | ১২৮৩৫ | ১২১৭০ | ৫৬.১০ |
মোল্লারগাঁও ৬৫ | ২৭৭৪ | ১০৪৯৪ | ৯৮৯২ | ৬২.৮১ |
লালাবাজার ৫০ | ৪৯৬৭ | ৯৯৮২ | ৯৭১৪ | ৫৬.৯৯ |
সিলাম ৭৫ | ৬২৫৪ | ১২৮৪৬ | ১২১৮৩ | ৫৯.৭২ |
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি : ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমার জনগণের একটি প্রতিরোধ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পাকিস্তানী সৈন্যরা বাড়ি বাড়ি ঢুকে নিরীহ লোকদের ধরে নিয়ে হত্যা করে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন : স্মৃতিসৌধ ২।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: মসজিদ ৪০২, মন্দির ১৬, গির্জা ৩, মাযার ১।
শিক্ষার হার : গড় হার ৫৮.৭০%; পুরুষ ৬১.৮৫%, মহিলা ৫৬.৮৫%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : কলেজ ৩, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২২, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮০, রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১০, কিন্ডার গার্টেন ৪৬, মাদ্রাসা ৫০।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: নূরজাহান মহিলা কলেজ।
দর্শনীয় স্থান : জিঞ্জির আরকুম শাহের মাযার।
হাটবাজার : ২৩। মোগলা বাজার, জালালপুর বাজার, লালাবাজার উল্লেখযোগ্য।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত |
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স | ০১টি (৩১ শয্যাবিশিষ্ট) |
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র | ০৭ টি |
ডাক্তারের মঞ্জুরীকৃত পদ সংখ্যা | ১৯ টি |
কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা | ইউএইচসি, ইউনিয়ন পর্যায়ে , ইউএইচএফপিও টিমোট= ১৯ টি |
সিনিয়র নার্স সংখ্যা | ০৩ জন। কর্মরত = ০৩ জন |
সহকারী নার্স সংখ্যা | ০ জন |
শাহাবুদ্দিন শুভ
তথ্য সূত্র :
১.ইন্টারনেট
২. উইকিপিডিয়া
৩. তথ্য বাতায়ন
৪.দক্ষিণ সুরমার মানচিত্র বাংলা পিডিয়া থেকে
৫. বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি – সিলেট
৬. জনসংখ্যা ২০০১ সালের শুমারী অনুযায়ী
৭. স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য: তথ্য বাতায়ন ২০.০৮.২০১৯
1 thought on “দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পরিচিতি”