বাউলাই নদী : সুনামগঞ্জ জেলাধীন তাহিরপুর উপজেলার বালীজুরি ইউনিয়নে প্রবহমান জাদুকাটা-রক্তি নদীর একটি শাখানদী হিসেবে উৎপত্তি লাভ করে জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারডাক ইউনিয়ন অবধি প্রবাহিত হয়ে ধনু নদীতে পতিত হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের কাছে নদীটি বালুয়া নামেও পরিচিত। এই নদী থেকে ছোট একটি শাখা লতিফপুর মৌজাতে পাটনাই-পাইকারতলা নদীতে পতিত হয়েছে। নদীতে ভাঙন প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। ফলে নদীটি পূর্বের তুলনায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনসাধারণ এই নদীর ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ দিয়ে থাকে। বর্ষাকালে নদীর পানি পাড় উপচে প্লাবন ভূমিতে প্রবাহিত হয়। নভেম্বর – ডিসেম্বর মাসে এই নদীর পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায়। অক্টোবরের শেষদিকে পানি হাঁটুর নিচে স্থিত হয়। পূর্বের তুলনায় নদীর পানিপ্রবাহে তেমন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় না। বর্ষা মৌসুমে নদীতে মালবাহী নৌকা চলাচল করে। এ নদী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণির নৌপথ হিসেবে স্বীকৃত।
নদী সম্পর্কিত আরো তথ্য-
উৎস :নদী
পতিত মুখ : নদী
প্রবাহিত জেলা: সুনামগঞ্জ
প্রবাহিত উপজেলা : তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা
নদীর তীরবর্তী বাজার সমূহ : তাহিরপুর হাট ও পাগলাজুরি বাজার
নদীর দৈর্ঘ্য : প্রায় ৭২ কিলোমিটার
প্রশস্ত : গড় ৮৩ মিটার
অববাহিকার আয়তন : প্রযোজ্য নয়
প্রকৃতি : সর্পিল আকার
বন্যা প্রবণতা : বন্যা প্রবণ
প্রকল্প : সোনামোড়ল হাওর প্রকল্প, শনির হাওর প্রকল্প, মতিয়ান হাওর প্রকল্প ও পাগনের
হাওড় ব্যবস্থা
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ : প্রযোজ্য নয়।
পানি প্রবাহের পরিমাণ : বর্ষা মৌসুমে তা বেড়ে যায় জুলাই-আগস্ট মাসে। তখন
পানিপ্রবাহের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০০০ ঘন মিটার/সেকেন্ড । নদীর গভীরতা ৮ মিটারে দাঁড়ায়
তখন।
নৌ-রোড : নদীটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃক নির্ধারিত ২য় শ্রেণীর নৌ রোড
নদী নং : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক বাউলাই নদীর প্রদত্ত পরিচিতি
নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৫৫
লেখা: শাহাবুদ্দিন শুভ
তথ্য সূত্র :
১. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ২০৭,২০৮ ।
২. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ২৬৬ ।
৩. মানচিত্র, বাংলাপিডিয়া ও গুগল ম্যাপ থেকে