লংলা নদী

লংলা নদী Longla River : নামের নদীটি একটি সীমান্ত নদী। এ নদী ভারতে উৎপত্তি লাভ করে।মৌলভীবাজার জেলাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে হবিগঞ্জ জেলাধীন নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে বিজনা-গুঙ্গাইজুরি নদীতে পতিত হয়েছে। শুকনো মৌসুমের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে নদীর কোথাও কোথাও শুকিয়ে যায়। এই সময় নদীর তলদেশ কোথাও কোথাও বীজতলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে বিশেষত, আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে নদীতে পানির স্রোত বেড়ে যায়। এ সময় কোথাও কোথাও নদীর দুপাড় উপচে অববাহিকা প্লাবিত হয়।

নদী সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক তথ্য :

উৎস :ভারত
পতিত মুখ : নদী
প্রবাহিত জেলা : মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ
প্রবাহিত উপজেলা : শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর ও নবীগঞ্জ
নদীর তীরবর্তী বাজার সমূহ : দুবারহাট ।
নদীর দৈর্ঘ্য : প্রায় ৬৭কিলোমিটার
প্রশস্ত : গড় ৭২ মিটার
অববাহিকার আয়তন : ২১০ বর্গ কিমি।
প্রকৃতি : সর্পিল আকার
বন্যা প্রবণতা : বন্যা প্রবণ
প্রকল্প : হাইল হাওর প্রকল্প
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ :বাঁতীরে ১০ এবং ডান তীরে ১০ কিলোমিটার
পানি প্রবাহের পরিমাণ : বর্ষা মৌসুমে জুলাই-আগস্ট মাসে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ৪১ ঘন সে.মি/ সেকেন্ড। তখন গভীরতা বৃদ্ধি পেয়ে ৪ মিটার পর্যন্ত হয়।
নৌ-রোড : নদীটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃক নির্ধারিত নৌ রোডের তথ্য উল্লেখ্য নেই।
নদী নং : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক ধলা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৭৩

লংলা নদীর মানচিত্র।

লেখা : শাহাবুদ্দিন শুভ

তথ্য সূত্র :

১. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ১৮১, ১৮২ ।
২. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৩৩, ৩৩৪ ।
৩. মানচিত্র, বাংলাপিডিয়া ও গুগল ম্যাপ থেকে

About শাহাবুদ্দিন শুভ

Read All Posts By শাহাবুদ্দিন শুভ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *