শ্রীমঙ্গল উপজেলা Sreemangal (মৌলভীবাজার জেলা) আয়তন: ৪৫০.৭৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৮´ থেকে ২৪°২৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৩৬´ থেকে ৯১°৪৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে কমলগঞ্জ উপজেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পশ্চিমে চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলা।
শ্রীমঙ্গলের নাম করণ : ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে শ্রীমঙ্গল থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি সীমান্ত উপজেলা। এর দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। অবস্থিত। সাতগাঁও এর ইতিহাস গ্রন্থে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নামকরণ সম্পর্কেবর্ণনা করা হয়েছে। হিন্দু-যুগে সাতগাঁও পাহাড়ে শ্রীমঙ্গল চণ্ডির একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তদকালে শ্রীমঙ্গল চণ্ডি ছিল এলাকার খুব জনপ্রিয় দেবতা। শ্রীমঙ্গল চণ্ডির মন্দিরে প্রতিদিন প্রচুর লোকের সমাগম ঘটতো। সংগত কারণে মন্দিরকে ঘিরে একটি হাট গড়ে উঠে। যার নাম হয় মঙ্গলচণ্ডির হাট। যা আস্তে আস্তে পরিবর্তিত হয়ে শ্রীমঙ্গল বাজার নাম ধারণ করে।
এ শ্রীমঙ্গল বাজারকে ঘিরে যে লোকালয় গড়ে উঠে তার নাম হয় শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গল নামকরণের আর একটি কিংবদন্তি দুই ভূস্বামী সহোদরের নামের সাথে জড়িত। অনেকে মনে করেন, শ্রী দাস ও মঙ্গল দাস নামের দুই ভূস্বামী ভাইয়ের নামানুসারে এলাকার নাম হয় শ্রীমঙ্গল । কেউ কেউ মনে করেন, আলোচ্য এলাকাটি শ্রী তথা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরূপ মহিমার বিমোহিত আকর্ষণ এবং সম্পদের মাঙ্গলিক আশীর্বাদে পুষ্ঠ ছিল । তাই নাম হয় শ্রীমঙ্গল। ১৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত নিৰ্ম্মাই শিববাড়ি, কালাপুর গ্রামে প্রাপ্ত একাদশ শতকের রাজা মরুগুনাথের তম্রে শাসন এবং লামুয়া গ্রামে মাটির নিচ হতে উদ্ধারকৃত ‘অনন্ত নারায়ণ দেবতার বিগ্রহ’ শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। রাজা মরুণ্ডনাথের তাম্র শাসন এবং অনন্ত নারায়ণ দেবতার বিগ্রহ’ বর্তমানে কলকাতা যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
ব্রিটিশ-পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে শ্রীমঙ্গল : ব্রিটিশ আমলের প্রথম দিকে বৃহত্তর সিলেট জেলা সহ শ্রীমঙ্গল ঢাকা বিভাগের অধীনে ছিল। ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে এই অঞ্চল ভারতের আসাম প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর শ্রীমঙ্গলসহ বৃহত্তর সিলেট জেলাকে আবার ঢাকা বিভাগের অধীনে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর পুনরায় বৃহত্তর সিলেটসহ শ্রীমঙ্গল আসামের অর্ন্তভুক্ত করা হয়। অর্থাৎ টানা দুইবার ঢাকা বিভাগ ও দুইবার আসামের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮৮২ সালে মৌলভীবাজারকে সাউথ সিলেট মহকুমা ঘোষণা করা হয় এবং ১৯১২ সালে শ্রীমঙ্গলকে থানা ঘোষণা করা হয়। ১৯১৫ সালে আসাম সরকারের এক নির্দেশে লোকাল বোর্ড চালু হলে শ্রীমঙ্গলকে মৌলভীবাজার লোকাল বোর্ড এর অধীনে ন্যাস্ত করা হয়। এই এলাকায় চা-চাষের উপযোগী ভূমি থাকায় এখানে চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। চা-পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই অঞ্চলে রেল লাইন স্থাপিত হয়। প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা দিয়ে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের গোড়াপত্তন করা হয়। শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন প্রতিষ্ঠা করার পূর্বে থানা সদর দপ্তর শ্রীমঙ্গলে স্থানান্তরিত হয়।১৯২৯ সালে শ্রীমঙ্গল বাজার এলাকাকে আরবান এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৩৫ সালের ১ লা অক্টোবর, ১৯২৩ এর আসাম মিউনিসিপ্যাল এ্যাক্ট এর বিধান মূলে ১৯২৯ সালে ঘোষিত আরবান এলাকা নিয়ে ‘শ্রীমঙ্গল স্মল টাউন কমিটি’ গঠিত হওয়ার মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার আত্নপ্রকাশ ঘটে। ১৯৬০ সালে এটি ‘মিউনিসিপ্যালিটিতে’ রূপান্তরিত হয়।
শ্রীমঙ্গল প্রশাসনিক থানা : প্রশাসন শ্রীমঙ্গল থানা গঠিত হয় ১৯১২ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮২ সালে। পৌরসভা গঠন করা হয় ১৯৩৫ সালে।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি : ১৯৬৩ সালে বালিশিরা কৃষক বিদ্রোহ চলাকালে পুলিশের গুলিতে উপজেলার ২ জন কৃষক নিহত হন। ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল পাকবাহিনী শ্রীমঙ্গলে প্রবেশ করে হত্যা, লুণ্ঠন, নারী নির্যাতন এবং অগ্নিসংযোগ করে।
উপজেলা
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা শহর | জনসংখ্যা গ্রাম | (প্রতি বর্গ কিমি) |
১ | ৯ | ১০৯ | ২০৭ | ৩২৫০৬ | ২৫৮৮১৪ | ৬১৭ |
শ্রীমঙ্গল পৌরসভা
আয়তন (বর্গকিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার |
১৬.২০ | ৯ | ১৯৪১৮ | ১১৯৯ | ৬৬.২ |
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের তথ্য
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | পুরুষ | মহিলা | শিক্ষার হার (%) |
আশিদ্রোন ১৫ | ১১৪২১ | ১৮৮২৪ | ১৮১৫৬ | ৪৬.৯৪ |
কালাপুর ২৮ | ১৯১৯৪ | ১৬২৬৫ | ১৫৯৭৩ | ৩৬.৭৫ |
কালীঘাট ৩৮ | ১৬০৬০ | ১১৩১৭ | ১০৭৭৮ | ২৪.৫৬ |
ভূনবীর ১৯ | ৮৮৭৫ | ১৫১২৪ | ১৫১৮৮ | ৩৯.২৮ |
মির্জাপুর ৪৭ | ১১৭৯৩ | ১২৩১৬ | ১১৬২৮ | ৩০.৭০ |
রাজঘাট ৫৭ | ১৩৭৩৪ | ১৩৯৩৭ | ১৩১০৮ | ২১.৫২ |
শ্রীমঙ্গল ৮৫ | ৩৫৭৫ | ২২৮৫৭ | ২১১৮৪ | ৫২.৫৬ |
সাতগাঁও ৬৬ | ৭২৮৪ | ৬২২৯ | ৫৭৩৬ | ২৩.৮৯ |
সিন্দুরখান ৭৬ | ৭১১৮ | ১৫৫৪১ | ১৪৬৫৩ | ৩৬.৫৫ |
রাজঘাট চা বাগান আক্রমণ : শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার মহকুমার অন্তর্গত একটি থানা। এর দক্ষিণ দিকে রাজবাড়ী ইউনিয়ন ও গ্রাম অবস্থিত। রাজঘাটের পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণদিক ঘিরে ভারতের বিশ্বব্যরাজ্যের সীমান্ত এলাকা। শ্রীমঙ্গল থানার একটি চা বাগানের নাম রাজঘাট। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী বাগানটিতে তাদের সহযোগী রাজাকার গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হতো। অচিরেই নারী নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের কেন্দ্র হয়ে ওঠে রাজঘাট চা বাগান। মুক্তিবাহিনীর কাছে এ সংবাদ পৌছলে তারা রাজঘাট চা বাগানে একটি অপারেশনের পরিকল্পনা করেন। জুন মাসের এক সন্ধ্যারাতে মুক্তিসেনার একটি দল রাজঘাট অভিমুখে রওনা হন। অনেকক্ষণ পর তারা বাগানের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করেন। এর পরই আক্রমণ শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হয়। আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টা হবে। একটানা আড়াই ঘণ্টা যুদ্ধ হয়। উভয়পক্ষের প্রচুর হতাহত হয়। মুক্তি-সেনাদের সাঁড়াশি আক্রমণে শত্রুসৈন্যরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। রাজঘাট অপারেশনে দুজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন : গণকবর ২ (উত্তর ভাড়াউড়া, দক্ষিণ ভাড়াউড়া); বধ্যভূমি ২ (বিডিআর ক্যাম্প, ওয়াপদা অফিসের পিছনে); স্মৃতিস্তম্ভ ১ (উত্তর ভাড়াউড়া)।
শ্রীমঙ্গল বীরশ্রেষ্ঠ সরণি : ১৯৯৩ সালের ২০ আগস্ট উদ্বোধন করা হয় শ্রীমঙ্গল-শমসেরনগর সড়কের পাশে অবস্থিত বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) ঘাঁটির মূল প্রবেশপথের মুখে নির্মিত ‘বীরশ্রেষ্ঠ সরণি’। ইট আর সিমেন্টের তৈরি এই স্মৃতিফলকে লেখা আছে ‘যাঁদের রক্তে মুক্ত স্বদেশ’। ফলকের ভিতরে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ ও বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদের প্রতিকৃতি অঙ্কন করে নীচে লেখা আছে
‘বীরশ্রেষ্ঠ সরণি’ । বেদিটি ইস্পাতের বেষ্টনী দ্বারা সংরক্ষিত।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৬৪, মন্দির ৩৮, গির্জা ১, তীর্থস্থান ১, রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম ২, আখড়া ৬।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৯.৬%; পুরুষ ৪৪.৩%, মহিলা ৩৪.৬%। কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৭, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১, মাদ্রাসা ৭।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, বিটিআরআই হাইস্কুল এন্ড কলেজ, দি বার্ডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ, দশরথ বহুপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৬), ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৪), ডোবারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮২), চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯২৪), চন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩৪), উত্তরসুর কুলচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: খোলা চিঠি; সাপ্তাহিক: শ্রীমঙ্গলের চিঠি, শ্রীভূমি, শ্রীবাণী, পূবালী বার্তা, পূবালী, চায়ের দেশ, শ্রীমঙ্গল পরিক্রমা; পাক্ষিক: বহ্নিশিখা।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান : লাইব্রেরি ৪, ক্লাব ৩৪, নাট্যমঞ্চ ৩০, নাট্যদল ৬, সিনেমা হল ৪।
দর্শনীয় স্থান : ভূনবীর গ্রামের বাসুদেব মন্দির, হাইল হাওর, লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট, সীতেশ বাবুর মিনি চিড়িয়াখানা, ভাড়াউড়া লেক, মাগুর ছড়া খাসিয়াপুঞ্জি ও গ্যাসকূপ, ডেনস্টন সিমেট্রি।
প্রধান কৃষি ফসল : চা, ধান, পান, রাবার, আলু, শাকসবজি।
প্রধান ফল-ফলাদি : আনারস, কাঁঠাল, লেবু।
হাটবাজার : মির্জাপুর হাট, সাতগাঁও হাট, সিন্দুরখান হাট, শ্রীমঙ্গল হাট, ভৈরববাজার হাট উল্লেখযোগ্য
মেলা : নির্মাই শিববাড়ির শিব চতুর্দশীর মেলা, গন্ধর্বপুর কাল ভৈরবের মেলা, ভীমসী মেলা ও উত্তরসুরের চড়কমেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য : চা, আনারস, লেবু, পান।
প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র ২।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র : উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, হাসপাতাল ২, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৫, স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্র ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২।
লেখা : শাহাবুদ্দিন শুভ
তথ্য সূত্র :
১. উইকিপিডিয়া
২. জেলা তথ্য বাতায়ন
৩. বাংলাপিডিয়া
৪. শ্রী হট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ – অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি, পৃষ্ঠা ১৪১, ২৭৭ – ২৮০ প্রকাশক – মোস্তফা সেলিম, উৎস প্রকাশন ২০১৭
৫. সিলেটের ইতিহাস – সংগ্রহ ও সম্পাদনায় কমল চৌধুরী,দেজ পাবলিশিং, কলকাতা, জানুয়ারী ২০১২, পৃষ্ঠা ২১৪-২১৯
৬. মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস, – সিলেট, লে. কর্ণেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক, বাংলা একাডেমী, এপ্রিল ২০১৮ পৃষ্ঠা ২৯৯,৩০০, ২৫৯
৮. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর ৪, মার্চ ২০০৬, পৃষ্ঠা ৫০, ১৬৪
৯. বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা শ্রীমঙ্গল , জুন ২০১৪, বাংলা একাডেমী পৃষ্ঠা (চা বাগান)
১০. জনসংখ্যা ২০০১ সালের শুমারী অনুযায়ী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০১০।
১১. স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য: তথ্য বাতায়ন
১২.বাংলাদেশের জেলা উপজেলা ও নদ নদীর নামকরণের ইতিহাস , ড. মোহাম্মদ আমীন, শোভা প্রকাশ, ফেব্রুয়ারী ২০১৮, পৃষ্ঠা ২৮০
১৩.শ্রীমঙ্গল উপজেলা মানচিত্র বাংলা পিডিয়া থেকে
1 thought on “শ্রীমঙ্গল উপজেলা”