চুনারুঘাট উপজেলা Chunarughat Upazila ( হবিগঞ্জ জেলা ) আয়তন: ৪৯৫.৪৯ বর্গ কিমি। সীমানা: উত্তরে হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পশ্চিমে মাধবপুর উপজেলা। প্রাচীন ব্যবসা বন্দর হিসেবে উপজেলা শহরের সুনাম রয়েছে।
তরফ রাজ্য : তরফ একটি প্রাচীন রাজ্য । সিলেট বিভাগের বর্তমান হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক তরফ রাজ্য সিলেট ইতিহাসের অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । গৌড়, লাউড় ও জয়ন্তীয়ার ন্যায় এটিও শ্রীহট্ট বা সিলেটের অন্যতম প্রাচীন রাজ্য। মুসলিম বিজয়ের অনেক আগে থেকেই এটি ত্রিপুরার সামন্ত রাজ্য ছিল। এই রাজ্যের শেষ হিন্দু রাজার নাম ছিল আচাক নারায়ণ। তরফের রাজা ছিলেন আচক নারায়ণ এবং রাজধানী ছিল বিষগাঁও। গৌড়ের রাজা গোবিন্দ ছিল আচক নারায়ণের ভগ্নীপতি । গৌরগোবিন্দর মত আচব নারায়ণ ও ছিল অত্যাচারী ।
শাহ জালাল কর্তৃক সিলেট বিজয়ের এক বছর পর (১৩০৪ খ্রিষ্টাব্দ) শাহ জালালের সঙ্গী অনুসারী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন ১২ জন সঙ্গী সাথীদের নিয়ে তরফ অভিযানে যান। সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে এটি বিজিত হয়ে, তরফ ও বার আউলিয়ার মুলুক নামে পরিচিত হয়। সৈয়দ মোস্তফা কামাল ও অন্যান্য ঐতিহাসিক গণ নিজ নিজ গ্রন্থে একটি প্রাচীন প্রবাদের সূত্রে লিখেন: একসময় তরফ ইসলামি শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক সাধনায় ভূ-ভারতের এক উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে রেখেছিল। প্রবাদটি হল এই ;
জায়গার নাম তরফ
ঘরে ঘরে হরফ
ভৌগোলিক অবস্থান :
প্রাচীন কালে উত্তরে বরাক নদী, দক্ষিণে পার্বত্য ত্রিপুরা ও বেজুরা পরগণা পূর্বে ভানুগাছের পাহাড় যা কমলগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং পশ্চিমে লাখাই পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তরফ রাজ্য। অর্থাৎ বর্তমান মৌলভীবাজার জেলার প্রায় অর্ধেক অংশ এর অন্তর্গত ছিল। শাহ জালালের সঙ্গী অনুসারী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন এর দ্বারা তরফ বিজিত হলে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় । এ সময় এ রাজ্যের সীমা বর্ধিত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল (সতরখণ্ডল) নেত্রকোনা জেলার জোয়ানশাহী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
অবস্থান: ২৪°০৪´ থেকে ২৪°১৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°২২´ থেকে ৯১°৩৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
নামকরণ
অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধির শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তে এ রাজ্যের পূর্ব নাম রাজপুর বলে উল্লেখ আছে। এটি ছিল ত্রিপুরার সামন্ত রাজ্য। তিপ্রা রাজা এপিবিষ্ণু দ্বারা রাজপুর রাজ্য শাসিত হত। রাজা এপিবিষ্ণুর হঠাৎ মৃত্যু ঘটে । রাজপুত্র তুঙ্গমাধব তখন শিশু ছিলেন । এ সময় এক রাজ কর্মচারী আচক নারায়ণ নামের যুবক রাজকন্যা লালসা দেবীকে বিবাহ করে রাজ্যধিকার লাভ করে । অচ্যুতচরণ চৌধুরী আচক নারায়ণকে ত্রিপুরার রাজ বংশের বলে ধারণা করেন এবং রাজ্যের নাম রাজপুর থেকে রাজপুত্র তুঙ্গমাধবের নামানুসারে ‘তুঙ্গাচল’ হলে ও হতে পারে বলে কেউ কেউ লিখেছেন [৩]। সৈয়দ নাসির উদ্দীন কর্তৃক তরফ বিজয়ের পর এ রাজ্যের নাম হয় তরফ । যা কোন দরবেশের দেয়া নাম থেকে অথবা আরবী শব্দ তরীগ থেকে তরফ নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন[
পটভূমি : অতিপ্রাচীনকালে এই এলাকার নাম নাম ছিল তরফ রাজ্য। এই রাজ্যের সর্বশেষ রাজার নাম ছিল আছক নারায়ণ এবং তাঁর রাজধানী ছিল বর্তমান বাল্লা সীমান্তের নিকটে টেকারঘাট গ্রামে। হযরত শাহজালাল (রঃ) নির্দেশে সিপাহসালার সাইয়েদ নাসির উদ্দিন কর্তৃক তরফ রাজ্য বিজয়ের পর এই অঞ্চলে মুসলিম শাসন আরম্ভ হয়। তৎকালে অত্র এলাকায় খোয়াই নদী ছাড়া যোগাযোগের অন্যকোন বিকল্প পথ ছিলনা। সেসময় খোয়াই নদীর পশ্চিম তীরে বড়াইল মৌজায় একটি নদীর ঘাট ছিল। এই ঘাট দিয়ে নদী পথে অন্য এলাকার জনসাধারণ যাতায়াত ও মালামাল আদান প্রদান করত। বিশেষ করে চা বাগান সমৃদ্ধ এ এলাকায় উৎপাদিত চা ও অন্যান্য মালামাল রপ্তানী কাজেও একমাত্র ঘাট হিসেবে ব্যবহৃত হত। জনশ্রুতি আছে, এ ঘাটের পার্শ্বে একজন বিখ্যাত চুন ব্যবসায়ী ছিলেন। যাঁর চুনের ব্যবসা তৎকালে সমগ্র তরফ রাজ্যে বিস্তৃত ছিল। তখন এই এলাকা চুন ব্যবসায়ী ঘাট নামে পরিচিতি লাভ করে এবং পর্যায়ক্রমে এলাকাটি চুনারুঘাট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
চুনারুঘাট থানা প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত :
বৃটিশ আমলে তৎকালীন আসাম সরকারের ১০/০৮/১৯১৪ ইংরেজি তারিখের ৪৭ নং জি স্মারকে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমাধীন মুছিকান্দি থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা বর্তমান থানা সদর হতে প্রায় ৬ কি. মি. পূর্ব দক্ষিণে খোয়াই নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। কিন্তু মুছিকান্দি যাতায়াতের অসুবিধা হেতু পরবর্তী সময়ে ১৯২২ ইংরেজি সনে বর্তমান স্থানে থানা সদর স্থানান্তর করা হয়। আসাম প্রাদেশিক সরকারের জারীকৃত স্মারক নং-৩১২৬/জি, জে এবং স্মারক নং৪৭, তারিখ-০৩/০৫/১৯১৮ ইংরেজি মূলে বর্তমান চুনারুঘাট থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
চুনারুঘাট থানা মান উন্নীতকরণ
১৯২২ ইংরেজি সনে চুনারুঘাট থানার মান উন্নীত করা হয়।
চুনারুঘাট উপজেলা হিসেবে ঘোষণা
১৯৮৩ ইংরেজি সনে চুনারুঘাট থানাকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা শহর | জনসংখ্যা গ্রাম | (প্রতি বর্গ কিমি) |
১ | ১০ | ১৬৫ | ৩৮৬ | ৮৫৭৫ | ২৫৮৪৮১ | ৫৩৯ |
চুনারুঘাট উপজেলার শহর
আয়তন (বর্গকিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার |
৩.৫৩ | ৩ | ৮৫৭৫ | ২৪৭৬ | ৫৬.৯৬ |
চুনারুঘাট উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের তথ্য
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | পুরুষ | মহিলা | শিক্ষার হার (%) |
আহমদাবাদ ০৯ | ১১৮৫০ | ১৪২১৬ | ১৪০৪০ | ৩২.১৩ |
উবহাটা ৯৫ | ৮৩৫৪ | ১০৩৭০ | ১০৩৫৬ | ৩৬.৯৭ |
গাজীপুর ৩৮ | ১১৫০০ | ১৫৯৬৩ | ১৬০৯৫ | ২৯.৫৭ |
চুনারুঘাট ১৯ | ৫০০১ | ১২৫৪১ | ১২০১১ | ৪১.১১ |
দেওড়গাছ ২৮ | ১১৪৯২ | ১৭৩৫৮ | ১৬৮৩৪ | ৩৭.১৫ |
পাইকপাড়া ৫৭ | ১১১১৩ | ১৩৩০১ | ১৩০৪৬ | ২৬.২৮ |
মীরাহি ৪৭ | ৮০৯৮ | ১৩৩১৪ | ১৩১৫০ | ৩১.৩৬ |
রানীগাঁও ৬৬ | ১৪৫৫২ | ১৩৯১৩ | ১৩৬০৯ | ২৯.০৩ |
শাটিয়াজুরি ৮৫ | ৮৬৩৯ | ১০২৯৫ | ১০০৫৬ | ৩১.১০ |
সানখোলা ৭৬ | ১৮৬১৫ | ১৩৫৬৯ | ১৩০১৯ | ৩৪.৩৩ |
চুনারুঘাট উপজেলায় খাসিয়া, মণিপুরী প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীও বাস করে।
নদ-নদী : খোয়াই নদী, সুতাং নদী, করাঙ্গী নদী উল্লেখযোগ্য।
প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্ন-সম্পদ : মুড়ারবন্দ দরগাহ্ শরীফের ভগ্ন শিলালিপি ও স্থাপত্য কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি : চুনারুঘাট উপজেলার রাজাপুরে টিপরা রাজা আচকনারায়ণের রাজধানী ছিল। আচকনারায়ণ ১৩০৪ সালে বাংলার সুলতান ফিরুজ শাহের সেনাপতি সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরউদ্দিনের বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হন।
মুক্তিযুদ্ধ :
আসাম পাড়া আক্রমণ : চুনারুঘাট থানার ভারতীয় সীমান্তবর্তী একটি এলাকা আসামপাড়া। ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য স্থানটির ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া অন্যান্য এলাকার তুলনায় আসাম পাড়াতে অনেক বেশি মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৫ ই জুন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এখানকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানের উপর আক্রমণ পরিচালনা করে। পাকিস্তানী সৈন্যরাও পাল্টা আক্রমণ করলে দীর্ঘ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলে। যুদ্ধের এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে অনেক হতাহতের পর পাকিস্তানি সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে প্রায় ৬০ জন পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ হতাহত হননি।
কালেঙ্গা জঙ্গলের অ্যামবুশ : চুনারুঘাট থানার দক্ষিণে কালেঙ্গা এলাকাটি জঙ্গল পরিবেষ্টিত হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালীন এই স্থানটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিরাপদ ছিল। তারা এখানে অবস্থান করে আশেপাশের এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থানের ওপর চোরাগোপ্তা আক্রমণ পরিচালনা করতেন।
২০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানী সৈন্যরা কালেঙ্গায় প্রবেশ করে। বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণ শেষে রেস্ট হাউজে ফেরার পথে তাদের পায়ের চাপে মাইন বিস্ফোরিত হয়ে ২-৩ জন হতাহত হয়। ফলে রেস্ট হাউজে অবস্থান নিরাপদ মনে না করে তারা সিন্দূরখানের দিকে চলে যায়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ সেপ্টেম্বর ২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি দল ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বে – কালেঙ্গা সিন্দুরখান সড়কের দুইপাশে টিলা আর ঝোপ জঙ্গলের আড়ালে অ্যামবুশ স্থাপন করে। কিছুক্ষণের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ জন রাজাকারের পিছনে পিছনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বড় দলে কালেঙ্গার দিকে অগ্রসর হয়। রাজাকার অগ্রসর হয়ে চলে যাওয়ার পর পাকিস্তানী সৈন্যরা মুক্তিযুদ্ধাদের অ্যামবুশ বেষ্টনীর মধ্যে প্রবেশ করতেই তারা একসঙ্গে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। অতর্কিত আক্রমণে পাকিস্তানি দলটি হতচকিত হয়ে যায় এবং গুলির আঘাতে অনেক হতাহত হয়। অভাবনীয় সাফল্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বেশি উত্তেজিত ছিলেন বলে তিনি বাঙ্কার থেকে বের হয়ে বেপরোয়া ভাবে গুলি চালিয়ে ‘জয় বাংল‘ স্লোগান দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান এর কাছে চলে যান। এই সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ছোড়া বুলেটের আঘাতে তিনি শহীদ হন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন অফিসার সহ ৬১ জন নিহত এবং অনেকে হতাহত হয়। বাকি সৈন্যরা পালিয়ে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করে।
চান্দপুর চা বাগান স্মৃতিসৌধ : ১৯৭১ সালের ২২ মে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী চুনারুঘাট থানা চান্দপুর চা বাগানের কয়েকজন শ্রমিক সর্দার উরাংকসহ বেশ কয়েক জন চা শ্রমিককে ধরে নিয়ে নলুয়া নিয়ে হত্যা করে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে স্থানীয় আওয়ামীলীগের সহায়তায় উরাংকের ছেলেরা শহীদদের স্মরণে চাঁদপুর চা বাগান প্রবেশ পথে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন।
আরও কয়েকটি উল্লেখ্য যোগ্য যুদ্ধ : মারুড়া ক্যাম্প আক্রমণ, লালচান্দ এলাকায় যুদ্ধ, ইসালিয়া সেতু ধ্বংস
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন : বধ্যভুমি ১ (নলুয়া চা বাগান);
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
মসজিদ ৩৩৮, মন্দির ২৯, মাজার ৫। সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন ( র) মাযার শরীফ মুড়ারবন্দ গ্রামে অবস্থিত, নরপতি গ্রামে সৈয়দ শাহ গদা হাসান (রঃ) ও সৈয়দ শরফুল হাসান (রঃ)-এর মাজার উল্লেখযোগ্য।
শিক্ষার হার : গড় হার ৩২.৮৭%; পুরুষ ৩৭.৭৯%, মহিলা ২৭.৯২%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১০, কিন্ডার গার্টেন ১, মাদ্রাসা ৩০।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৮), গাবতলা দাখিল মাদ্রাসা (১৯৩৩), গাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৯), মিরাশী উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮৭), রাজার বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৬৭), উবাহাটা কুদরতীয়া দাখিল মাদ্রাসা (১৮৭০), সানখলা দাখিল মাদ্রাসা (১৯২৮)।
দর্শনীয় স্থান : সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন ( র) মাযার শরীফ, আমু বাগান, চাঁনপুর বাগান, লস্করপুর বাগান, চন্ডীছড়া বাগান, চাকলাপুঞ্জি বাগান, শ্রী বাড়ি বাগান, পারকুল বাগান, দারাগাঁ বাগান, লালচান বাগান, দেউন্দি বাগান, তেলিয়াপাড়া বাগান, সুরমা বাগান, নোয়াপাড়া বাগান, জগদীশ পুর বাগান ও বৈকন্ঠপুর বাগান।
হাটবাজার ২৩। চুনারুঘাট বাজার, চানপুর বাগান বাজার, আমুরোড বাজার, নালমুখ বাজার ও হাজীগঞ্জ বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য চা, ধান।
খনিজ সম্পদ : পাহাড়ী অঞ্চলের কাঁচ বালি।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১০, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ২, দাতব্য চিকিৎসালয় ১, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ৯, পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ১।
এনজিও : কেয়ার, ব্র্যাক, আশা উল্লেখযোগ্য।
লেখা :শাহাবুদ্দিন শুভ
তথ্য সূত্র :
১. উইকিপিডিয়া
২. জেলা তথ্য বাতায়ন
৩. বাংলাপিডিয়া
৪. শ্রী হট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ – অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি, পৃষ্ঠা ১৪১, ২৭৭ – ২৮০ প্রকাশক – মোস্তফা সেলিম, উৎস প্রকাশন ২০১৭
৫. সিলেটের ইতিহাস – সংগ্রহ ও সম্পাদনায় কমল চৌধুরী,দেজ পাবলিশিং, কলকাতা, জানুয়ারী ২০১২, পৃষ্ঠা ২১৪-২১৯
৬. মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস, – সিলেট, লে. কর্ণেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক, বাংলা একাডেমী, এপ্রিল ২০১৮ পৃষ্ঠা ১২০,১৩৪, ১৩০, ২৯৮
৭. সিলেট বিভাগের প্রশাসন ও ভূমি ব্যবস্থা ,মোঃ: হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, সেপ্টেম্বর ১৯৯৮, পৃষ্ঠা ৭১,
৮. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর ৩, মার্চ ২০০৬, পৃষ্ঠা ১৯৭-২০১, ২০৯,
৯. বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা হবিগঞ্জ , জুন ২০১৪, বাংলা একাডেমী পৃষ্ঠা ২৬, ৩০ (চা বাগান)
১০. জনসংখ্যা ২০০১ সালের শুমারী অনুযায়ী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; চুনারুঘাট উপজেলার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০১০।
১১. স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য: তথ্য বাতায়ন
১২.চুনারুঘাটের মানচিত্র বাংলা পিডিয়া থেকে