কুলাউড়া উপজেলা Kulaura Upazila (মৌলভীবাজার জেলা) :: কুলাউড়া সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার উত্তর পূর্ব সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। এ উপজেলার উত্তরে ফেঞ্চুগঞ্জ ও জুড়ি উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে আসাম,পশ্চিমে রাজনগর উপজেলা। কুলাউড়ার ভূমি পাহাড়, টিলা সমতল ও জলাভূমির সমন্বয়ে গঠিত। উপজেলার আয়তন: ৫৪৫.৫৭ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°১৯´ থেকে ২৪°৩৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৪´ থেকে ৯২°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ফেঞ্চুগঞ্জ ও বড়লেখা উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে জুড়ী উপজেলা, পশ্চিমে কমলগঞ্জ ও রাজনগর উপজেলা।
নামকরণের ইতিহাস : শাহা হেলিম উদ্দিন কোরেশী নামক গ্রন্থ থেকে জানা যায় মোঘল সুবাদার এর কাছ থেকে দেওয়ানী পাওয়ার পর মনসুর গ্রামের প্রখ্যাত দেওয়ান মামন্দ মনসুরের পিতামহ মামন্দ মনোহরের ভ্রাতা মামন্তদ কুলাঅর কুমার থাকাবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর পর মামন্দ মনোহর ভ্রাতার স্মৃতি রক্ষার্থে নিজ জমিদারির পূর্বাংশে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করে নাম রাখেন কুলঅরার বাজার’’। কালক্রমে “কুলঅরার বাজার থেকে কুলাউড়া” নামকরণ করা হয়েছে।
এছাড়া কুলাউড়া নামকরণের জনশ্রুতি রয়েছে :
ক) বহু আগে বর্তমান কুলাউড়া থানার উত্তর পাশের রেল চৌমুহনীর স্থলের বটগাছের নিছে প্রতিদিন সকাল বিকাল বাজার বসত। একদিন দুপুর বেলা কোন এক কোলা বিক্রেতার কোলা কুড়োলা বা ঘূর্ণি বাতাসের মধ্যে পড়ে উড়ে উড়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে পড়ছিল। ঘূর্ণি বাতাসে কুলা উড়েছিল বলে স্থানটির নাম কুলাউড়ার বাজার থেকে একসময় কুলাউড়া হয়েছে ।
খ) অতীতে কুলা ও উড়ার জন্য এই এলাকা প্রসিদ্ধ ছিল বলে স্থানটির নাম কুলাউড়া হয়েছিল।
গ) বর্তমানে রেল চৌমুহনীর স্থলের তৎকালীন বটগাছের নিচে হিন্দুরা দেবতার উদ্দেশ্য মানত করা দ্রব্য এনে রাখত। কাকরুপি দেবতারা উড়ে উড়ে তা খেত বলে ঐ স্থানের নাম কাকউড়া থেকে একসময় কুলাউড়া হয়েছে।
ঘ) এককালে কুলাউড়ার পাহাড়িয়া অঞ্চলে কুকী জাতীয় লোকের বাস ছিল। তাই ককীদের ভাষা থেকে কুলাউড়া নাম আসতে পারে বলে অনেকে ধারনা করেন।
উপজেলা পটভূমি : প্রাচীন নিদর্শন ভাটেরার তাম্র ফলক দ্বয়ের কুলাউড়া নামের কোন উল্লেখ নেই। তবে প্রাচীন একটি শ্লোকাংশে ‘‘লংলাইস্য কুলাউড়া, ইটাস্য নন্দিউড়া’’ কথাটির উল্লেখ রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, পরগণা ভিত্তিক শাসনামলে কুলাউড়া নামটি ছিল এবং ইটা পরগণা নন্দিউড়ার ন্যায়, লংলা পরগণার কুলাউড়া একটি প্রসিদ্ধ স্থান।
এখানকার পাহাড়গুলো বনজ সম্পদে ভরপুর। টিলায় রয়েছে চা বাগান। বাংলাদেশের মোট ১৫৩টি চা বাগানের মধ্যে এ উপজেলা ২০/৩৩ টি চা বাগান রয়েছে। সমতল ভূমিতে ধান ছাড়াও বিভিন্ন্ খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয় এবং জলাভূমিতে প্রচুর মাছ উৎপাদিত হয়। এ উপজেলায় বাংলাদেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওর এর উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে।
প্রশাসন কুলাউড়া থানা গঠিত হয় ১৯২২ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৯২ সালের ১০ জানুয়ারি। কুলাউড়া পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৯৬ সালে।
জনসংখ্যা ৩০৫৯৫৪; পুরুষ ১৫৪৫২০, মহিলা ১৫১৪৩৪। মুসলিম ২৩৭৪৫৪, হিন্দু ৬৩২৪৪, বৌদ্ধ ৫০১৭ এবং অন্যান্য ২৩৯। এ উপজেলায় মনিপুরী, খাসিয়া প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা শহর | জনসংখ্যা গ্রাম | (প্রতি বর্গ কিমি) |
১ | ১৩ | ১২১ | ৪৭০ | ২১৯৫৮ | ২৮৩৯৯৬ | ৭০৯ |
কুলাউড়া পৌরসভা :
আয়তন(বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার % |
১০.৫০ | ৯ | ২৬ | ২০৯৩৪ | ১৯৯৪ | ৬০.৩ |
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গকিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার |
৩.৮২ | ২ | ১০২৪ | ২৬৮ | ৭০.৪ |
কুলাউড়া উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের তথ্য
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | পুরুষ | মহিলা | শিক্ষার হার (%) |
কর্মধা ৫৯ | ২৪৪৮৫ | ১৫৫৫২ | ১৫৪৮১ | ২৯.৩১ |
কাদিরপুর ৫৩ | ৬৫৭৯ | ৯৪৪০ | ৮৮৪০ | ৫৬.৩১ |
কুলাউড়া ৬৫ | ৬৬৮৩ | ৭১৫১ | ৭১২৪ | ৪২.৭৫ |
জয়চন্ডি ৪১ | ৮৮৬০ | ১৩৪৩১ | ১৩০৭৫ | ৪০.৩২ |
টিলাগাঁও ৯৫ | ১০১৯৩ | ১৩৮৭৪ | ১৩৬৫২ | ৪১.৫৬ |
পৃথিম পাশা ৭১ | ৭৬৮২ | ১৩৪০৮ | ১৩০৪৫ | ৩৭.৪০ |
বরমচাল ১১ | ৩২৬৭ | ৭৮৭২ | ৭৬৯৪ | ৫০.৮৮ |
ব্রাহ্মণ বাজার ১৭ | ৬৩৬০ | ১৩২০৭ | ১৩০৯৩ | ৪৬.৯৪ |
ভকশীমইল ১১ | ১০৯০৪ | ১০৮৪৭ | ১০৭১৪ | ৪৩.৬০ |
ভাটেরা ১৩ | – | ৬৬৮৭ | ৬৭৮৩ | ৪৮.৭৩ |
রাউৎগাঁও ৭৭ | ৪৬০৭ | ৮৭৪৬ | ৮৮৭৩ | ৪৭.১০ |
শরীফপুর ৮৯ | ৭৬৯২ | ১০৯২৬ | ১০৫২৮ | ৩৭.৭৭ |
হাজীপুর ৩৫ | ৭০৫৮ | ১২৪৪১ | ১২৫৩৬ | ৪১.৮৩ |
প্রধান নদী: মনু ।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্ন সম্পদ : পৃথিম পাশার নবাব বাড়ি (অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগ), ভাটেরার তাম্রফলক, রঙ্গিরকূল বিদ্যাশ্রম, গগনটিলা, চাঁনগ্রাম দিঘি।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি : ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় চট্টগ্রামের ট্রেজারি লুট করে প্রায় ৩০০ সিপাহী পৃথিম পাশার জমিদার গউসআলী খাঁর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করে। ১৯২১ সালে ভারতব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের সময় এ উপজেলার রঙ্গীরকূলে পূর্ণেন্দু কিশোর সেনগুপ্তের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল বিদ্যাশ্রম। ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়ার অপরাধে নবীনচন্দ্র স্কুল থেকে বহুসংখ্যক ছাত্র বহিষ্কার হয়। একই সময়ে কুলাউড়া শহর থেকে দুই কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে কালাপানি হাওরে ইংরেজ মিত্রবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী কুলাউড়া হাসপাতাল ও নবীনচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে। এসময় পাকবাহিনী কুলাউড়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ লোককে হত্যা করে।
লাঠিটিলা বিওপি যুদ্ধ : ১৯৭১ সালের ২০শে জুন আনুমানিক ভোর ৪ টায় যাত্রা শুরু করে সকাল ৬ টায় লাঠিটিলা বিওপিটি ঘিরে অবস্থান গ্রহণ করেন মুক্তিবাহিনী । গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে যাওয়ায় ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানীদের গুলিতে আহত হন। ক্যাপ্টেন রব এর আক্রমণের পূর্বে ভারতীয় আর্টিলারি ফায়ার সহায়তা চাওয়া মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ৫০০ আর্টিলারি গোলা পাকিস্তানী অবস্থানের উপর নিক্ষেপ করা হয়। আর্টিলারি ফায়ার বন্ধ হওয়ার পর পর ক্যাপ্টেন রবের দল আক্রমণ শুরু করলে পাকিস্তানী সৈন্যরা বাঙ্কার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১৫ জন নিহত হয় এবং ২ জন বন্দি হয়। এসময় ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।
দত্তগ্রামে সংঘর্ষ : দত্তগ্রাম মৌলভীবাজারে কুলাউড়ার শরিফপুর ইউনিয়নের একটি অন্তর্গত একটি গ্রাম। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তের একেবারে কাছে এর অবস্থান। মৌলভীবাজারের অন্যতম নদী মনু নদীরে পাশে এই গ্রামের অবস্থান। আগের দিন গ্রামে হানা দেয় পাকবাহিনী পরের দিন পরিকল্পনা মতো ভারত থেকে মুক্তিবাহিনীর ১৭ জনের দলে নদী পার হয়ে গ্রামে ঢুকে হতভম্ব হয়ে যান। পুরো গ্রাম জুড়ে আগুন আর আগুন। তার যখন গ্রাম অবস্থান করছিলেন এমন সময় ২ দিক থেকে আক্রমণ করে পাকিস্তান বাহিনী । ৪৫ মিনিট ধরে চলে প্রচণ্ড গুলাগুলি। এসময় আসলাম নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে সংবাদ নিয়ে গেলে মুক্তিবাহিনীর বিরাট একটি দল সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলে পিছুহঠে পাকিস্তানী বাহিনী।
পৃথিমপাশা অভিযান : পৃথিমপাশা মৌলভীবাজার জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান । মৌলভীবাজার উপজেলার দক্ষিণে এর অবস্থান । মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানটি কৈলাশ শহর সাব সেক্টরের অধীনে ছিল। ৭ মে ৭১ সালে এদেশীয় স্থানীয় দোসরদের সহযোগিতা নিয়ে পৃথিমপাশায় অভিযান চালায়। রিক্সা চালাক কুনুর মিয়া ও মুনশি আবদুর রহমান যিনি সমরু মুনশি নামে পরিচিত ছিলেন। তাদের সহ চারজনকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন সমরু মুনশির লাশ দাফন করা হয় এবং বাকী তিনটি লাশ ফানাই নদীর তীরে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
এছাড়া জুনের প্রথম সপ্তাহে লাঠিটিলা চা বাগান আক্রমণ, ১৯ জুন লাঠিটিলা বিওপি আক্রমণ, ২৪ জনু পৃথিমপাশা ডাকঘর অভিযান, ১২ জুলাই মুরইছড়া সেনা ছাউনি আক্রমন, ও রাজাপুর গ্রামে অভিযান সহ বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করে মুক্তিবাহিনী ।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন : গণকবর ১ (চাতলগাঁও), বধ্যভূমি ১ (চিড়ল মুচির বাড়ি, আলী আমজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পদ্ম দিঘীর পাড়)।
ভাষা আন্দোলনে কুলাউড়ার তিন বোনের অবদান
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার উছলাপারা গ্রামের এ এম আশরাফ আলী ও মনিরুন্নেসা খানমের তিন মেয়ে ছালেহা বেগম, রওশন আরা বাচ্চু ও হোসনে আরা বেগম দেশের ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখেন।
১। ছালেহা বেগম: সিলেটের কুলাউড়ার ছালেহা বেগম ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী থাকাকালীন ভাষা শহীদদের স্মরণে স্কুলে কালো পতাকা উত্তোলন করেন। এই অপরাধে সেখানকার জেলা প্রশাসকের আদেশে স্কুল থেকে তাকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তখন ছালেহা বেগমের পক্ষে আর পড়ালেখা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
২। রওশন আরা বাচ্চু : রওশন আরা বাচ্চু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে থাকতেন দর্শনে অনার্স পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতিতে জড়ান। তৎকালীন সময়ে ভাষা আন্দোলনে তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ গ্রহণ করেন।
৩। হোসনে আরা বেগম : হোসনে আরা বেগম পিরোজপুর আরবান গার্লস স্কুলে পড়াকালীন সময়ে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : হযরত শাহ কামালের (র:) মাজার।
শিক্ষার হার : গড় হার ৫১.০৮%; পুরুষ ৫৪.০০%, মহিলা ৪৮.০৬%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : কলেজ ৯, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৯, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১৮, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১৬, মাদ্রাসা ৪৩।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৯), ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজ (১৯৯৫), লংলা আধুনিক মহাবিদ্যালয় (১৯৯৮), ইউসুফ গনি আদর্শ কলেজ, নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৯), নয়াবাজার কেসি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৯), রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৮), কুলাউড়া গার্লস হাই স্কুল।
দর্শনীয় স্থান : এ উপজেলায় ২০/৩৩ টি চা বাগান এবং মুরাইছড়ায় (কর্মধা) ১৫০০ একর বনভূমিতে নির্মিত দেশের প্রথম ইকোপার্ক রয়েছে। এছাড়া টিলা সদৃশ ভূমিরূপ, রাবার বাগান উল্লেখযোগ্য।
হাটবাজার : হাটবাজার ৫১। ব্রাহ্মণ বাজার, কামিনীগঞ্জ বাজার, ফলুতলা বাজার, রবির বাজার, ঘাটের বাজার, উত্তর বাজার, দক্ষিণ বাজার, চৌধুরী বাজার এবং লালবাগের বারুণী যোগ্য।
মেলা : দুর্গাপূজার মেলা, পৌষ সংক্রান্তির মেলা, রঙ্গিরকূল আশ্রম কেন্দ্রিক মেলা উল্লেখ যোগ্য।
প্রধান রপ্তানি দ্রব্য : চা, রবার, পান, বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র।
খনিজ সম্পদ : এ উপজেলায় ইউরেনিয়াম, কাঁচবালি, তেল (বরমচাল) ও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র : উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, হাসপাতাল ৬, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১৬, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৯, পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৫, মা ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৫, দাতব্য চিকিৎসালয় ৭, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৫, ডায়াবেটিস সেন্টার ১, পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্র ১, পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ১।
নোট : ১) কুলাউড়া উপজেলা তথ্য বাতায়ন অনুযায়ী কুলাউড়া উপজেলাতে চা বাগানের সংখ্যা ২০। অন্যদিকে বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী কুলাউড়া উপজেলা চা বাগানের সংখ্যা ৩৩ টি।
২) লাঠিটিলা, কামিনীগঞ্জ বাজার, ফুলতলা বাজার বর্তমানে জুড়ি উপজেলাধীন।
- লেখা : শাহাবুদ্দিন শুভ
তথ্য সূত্র :
১. উইকিপিডিয়া
২. উপজেলা তথ্য বাতায়ন
৩. বাংলাপিডিয়া
৪. শ্রী হট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ – অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি, পৃষ্ঠা ৩৯ ৪২,৫৯ প্রকাশক – মোস্তফা সেলিম, উৎস প্রকাশন ২০১৭
৫. মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস, – সিলেট, লে. কর্ণেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক, বাংলা একাডেমী, এপ্রিল ২০১৮ পৃষ্ঠা ১৪০, ১৪২, ১৫২
৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর ৪, মার্চ ২০০৬, পৃষ্ঠা ৩৫,৪০, ৪৭, ৫০,৯৩, ৯৮,৯৯, ১০০, ১০৫, ১০৬
৭. সিলেট বিভাগের প্রশাসন ও ভূমি ব্যবস্থা ,মোঃ: হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, সেপ্টেম্বর ১৯৯৮, পৃষ্ঠা ৭১,
৮. জনসংখ্যা ২০০১ সালের শুমারী অনুযায়ী
৯. স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য: তথ্য বাতায়ন
১০. আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কুলাউড়া উপজেলার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০১০।
১১. বাংলাদেশ ভ্রমণ সঙ্গী, মোস্তাফা সেলিম, ২য় সংস্করণ ২০১৩, পৃষ্ঠা ২১০
১২. কুলউড়া মানচিত্র বাংলা পিডিয়া থেকে
১৩. নারী জাগরণে ভাষা আন্দোলন, সমকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
১৪. সর্বকনিষ্ঠ ভাষা সৈনিক ছালেহা বেগম, সারাবাংলা ডটনেট, ফেব্রুয়ারি ২০২০