বিয়ানীবাজার উপজেলা

বিয়ানীবাজার উপজেলা (Beanibazar Upazila ) সিলেট জেলার একটি অন্যতম উপজেলা হচ্ছে বিয়ানীবাজার। এ উপজেলার উত্তরে কানাইঘাট এবং জকিগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে বড়লেখা, পূর্বে জকিগঞ্জ উপজেলা ও ভারতের আসাম রাজ্য, পশ্চিমে গোলাপগঞ্জ উপজেলা। ভারতের সাথে ১২.০১ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। মোট বনাঞ্চল ১৫.৫৪ বর্গ কিমি। বিয়ানীবাজার উপজেলার আয়তন: ২৫৩.২২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৫´ থেকে ২৪°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৩´ থেকে ৯২°১৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।

নামকরণ :  বিয়ানীবাজারের পূর্ব নাম ছিল পঞ্চখন্ড। তৎকালীন সময়ে পঞ্চখন্ড গহীন জঙ্গল ও টিলা বেষ্টিত ভূমি ছিল। সিলেটের প্রথম রায় বাহাদুর হরেকৃষ্ণ রায় চৌধুরীর পুত্র কৃষ্ণ কিশোর পাল চৌধুরী এখানে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু হিংস্র জীবজন্তুদের ভয়ে লোকজন সকালবেলা (স্থানীয় ভাষায় বিহানে) বাজার শেষ করে নিজ নিজ আশ্রয়ে ফিরতেন। বিহানবেলা এই হাট বসতো বলে এই স্থানের নামকরণ করা হয় বিহানীবাজার অর্থাৎ বিয়ানীবাজার। বিহানীবাজার যা কালের আবর্তনে বিয়ানীবাজার নাম ধারণ করে।

ইতিহাস : ১৭৬৫ সালে মোঘল অধিকৃত সিলেট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৭৮২ সালের ৩ জানুয়ারী সিলেট ঢাকা প্রশাসন স্বতন্ত্র হয়ে পড়ায় সিলেটকে ১০টি রাজস্ব জেলায় বিভক্তির সুপারিশ করা হয়। বিয়ানীবাজার লাতু রাজস্ব জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৭৪ সালে ১২ সেপ্টেম্বর সিলেটকে আসামের সাথে সংযুক্ত করা হয়। আসাম ভূক্তির পর ১৮৭৮ সালে করিমগঞ্জ মহকুমা সৃষ্টি করা হলে বিয়ানীবাজার করিমগঞ্জ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৭৯৩ সালের ২২শে মে লর্ড কর্ণওয়ালিসের সময় থানা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে জলঢুপ (বর্তমানে থানা বাজার নামে পরিচিত) থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হলে বিভক্ত ভারতের কোন অংশে সিলেট যোগদান করবে তা নির্ধারণের জন্য গণভোট হয়। ৬ ও ৭ জুলাই দু’দিনের গণভোটে সিলেটবাসী পাকিস্তানের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু গণ রায়কে উপেক্ষা করে রেড ক্লিফের রোয়েদাদ করিমগঞ্জ মহকুমার মুসলিম প্রধান তিনটি থানা (পাথার কান্দি, রাতাবাড়ি, বদরপুর ও করিমগঞ্জের অধিকাংশ অঞ্চল) পাকিস্তানের হাত ছাড়া হয়ে ভারতে থেকে যায়।

এদিকে পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্বে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানাকে নিয়ে ’জলঢুপ’ নামে একটি থানা গঠিত হয়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বে ১৯৪০ সালের ২৮ মে সরকারী নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জলঢুপ’ থানাকে ভেঙ্গে বিয়ানীবাজার ও বড়লেখা নামে দু’টি থানা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সেখান থেকেই এই ’ বিয়ানীবাজার’ স্বতন্ত থানা হিসাবে পরিচিত হয়।পরে ১৯৮৩ সালের ১ আগস্ট তৎকালীন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী জেনারেল শামসুল হক আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ানীবাজারকে উপজেলায় উন্নীত করেন।

বিয়ানীবাজার এর নিদনপুর গ্রামের মশরফ আলীর বাড়িতে ১৩৯৯ বাংলায় মাটির স্তুপ খনন কালে ৬টি খণ্ড ও একটি গজ চিহ্নিত তাম্র নির্মিত রাজকীয় ৭টি শীল পাওয়া যায়। এইসব প্রাপ্ত শিলালিপির মাধ্যমে ’ময়ূর শাশ্বল’ নামক ক্ষেত্রটি ব্রাক্ষণদের নিষ্কর দানের নিদর্শন পাওয়া যায়। এই সব তাম্রপত্রে খোদিত ছিল কামরূপ অধিপতির রাজকীয় ঘোষণার প্রতিফলন । তৎকালীন স্থানীয় জমিদার পবিত্রনাথ দাস তাম্রশাসন গুলো সংগ্রহ করে কলকাতার যাদু ঘরে হস্তান্তর করেন।প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে বিয়ানীবাজারে প্রাপ্ত এই তাম্রলিপি গুলো সবচেয়ে প্রাচীন। সিলেটের শেষ হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দের রাজ্যবসানের পর্ব পর্যন্ত এই সিলেটের পঞ্চখন্ড অঞ্চল ধর্মপালের অধীনে পাল সম্রাজ্যভূক্ত ছিল। পাল বংশের বানারসী পাল খাসায় একটি সুবৃহৎ দীঘি খনন করেন যাহা বর্তমানে বারপালে্ দীঘি নামে পরিচিত এই পঞ্চখন্ডের প্রাচীন নাম ছিল চন্দ্রপুর বিষয় প্রায় ১শ’বছর পর পাল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে। হযরত শাহজালাল(র:) এর সিলেট বিজয়ের (১৩০৩ খৃ:) পর এই জনপদ মুসলিম শাসনের আওতাভুক্ত হয়।

বর্তমানে ঢাকা জাদুঘরে রক্ষিত সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে অর্থাৎ ১৫১২ খৃষ্টাব্দের একটি শিলালিপিতে শাহজালাল(র:) এর সিলেট বিজয়ের তারিখ খোদাই (খনন) করা রয়েছে সিলেট বিজয় পরবর্তী হযরত শাহজালাল তার সফর সঙ্গী(সিলেটের হায়দার গাজী নামে পরিচিত) নূরুল হুদা আবুল কেরামত সাঈদী হোসেনীর উপর এ জেলার শাসনভার অর্পণ করেন। এ সময় হযরত শাহজালালের অন্যতম সফর সঙ্গী খাজা আদিনা (র:)সঙ্গীদের নিয়ে ইসলাম প্রচারের জন্য পঞ্চখন্ডে আসেন। যার সমাধি বিয়ানীবাজারের চারখাই আদিনাবাদে অবস্থিত। সেই থেকে পঞ্চখন্ড অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম প্রচারের প্রভাব পড়ে এবং দিনদিন তা জনপ্রিয়তা লাভ করে। ৩৬০ আউলিয়ার সফরসঙ্গীদের আগমন ও পঞ্চখন্ডের বিভিন্ন স্থানে বহু অলি দরবেশের মাজার ইসলাম প্রচারের স্বাক্ষর বহন করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এতদঞ্চল ইসলাম প্রচারের মধ্য দিয়ে মুসলিম সভ্যতায় বিকশিত হয়।

বিয়ানীবাজার উপজেলা

পৌরসভাইউনিয়নমৌজাগ্রামজনসংখ্যা
শহর
জনসংখ্যা
গ্রাম
(প্রতি বর্গ কিমি)
১১ ১৪৫ ১৮৩ ১৮২৪৫১৯২৪২৮ ৮৩২

বিয়ানীবাজার উপজেলা শহর

আয়তন (বর্গকিমি)মৌজালোকসংখ্যাঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার
৭.২৮ ১৮২৪৫ ২৫০৬ ৫৯.০৩

বিয়ানীবাজার উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের তথ্য

ইউনিয়নের নাম
ও জিও কোড
আয়তন (একর)পুরুষমহিলাশিক্ষার হার (%)
আলীনগর ০৮ ৫৭০৯ ৮৪৭৪ ৮৬৫৩ ৫১.০৯
কুড়ার বাজার ৪৩ ৪১৫৫ ১১৩৭৩ ১১৪০৪ ৫৩.১৬
চরখাই ২৫ ৯০৫৫ ১৩১৫৯ ১৩৩৯২ ৪৯.৭১
তিলপাড়া ৯৪৬৪৬৩ ৭৫২৫ ৮২৭০ ৫০.৭৬
দোভাগ ৩৪ ৬৩১২ ৯৬৪৬৯৬৩০ ৫২.৪৯
বিয়ানীবাজার ১৭ ২৫২৬১১৭৭৯১১২০৯৫৯.০৮
মথিউরা ৬০ ৩৬৭১ ৫৫২০ ৫৮৮৩ ৬০.৩৩
মুড়িয়া ৭৭ ৮৮২৪ ১১২৫৫১১০৬৮৫০.১১
মোল্লাপুর ১৪ ৩৮৫২ ৮৫৫০ ৮৫১২ ৫৪.৮৮
লাউতা ৫১ ৪৮০৩ ৮৬৪৩ ৮৮৮৯৪৬.৭২
শেওলা ৮৬ ৬৭৪০ ৮৬৩২৯২০৭ ৫১.৪০

প্রধান নদী: কুশিয়ারা, সোনাই।

জলাশয় :কালাউচি খাল ও সাদা খাল উল্লেখযোগ্য।

নানকার স্মৃতিসৌধ :১৯৪৯ সালের নানকার ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহের স্মৃতি বিজড়িত সানেশ্বর উলুউরি গ্রামের মধ্যবর্ত্তী সুনাই নদীর তীরে নির্মিত নানকার বিদ্রোহের শহিদদের স্মরণে স্মৃতি সৌধটি বাঙ্গালীর প্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহের স্মারক। বিট্রিশ রাজত্বের অবসান হলেও থেকে গিয়েছিল বিট্রিশের বি্ট্রিশের চালু করা জমিদারী ও নিকৃষ্ট নানকার প্রথা। এই বিদ্রোহের কালেই নানকার প্রথা ও জমিদারী বিলুপ্ত হয়ে ছিল। বাঙ্গালীর প্রথম এই সফল বিদ্রোহের প্রাণ দিয়ে ছিলেন ৬ জন কৃষক। ইতিহাসও শেকড় সন্ধানীরা ঘুরে আসতে পারেন নানকার বিদ্রোহের সুতিকাগার সানেশ্বর উলুউরি গ্রাম। সুনাই নদীর তীরে বসে দেখে আসতে পারেন শহীদ স্মৃতি সৌধটি। জানাতে পারেন শ্রদ্ধা।

বাসুদেব মন্দির : প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ সুপাতলায় হিন্দু তীর্থ শ্রী শ্রী বাসুদেব বাড়ি এবং কষ্টি পাথর নির্মিত বাসুদেব মূর্তি। ৭ম শতাব্দীর কামরূপ নরপতি ভাস্কর বর্মার তাম্রশাসনের ৭টি খণ্ডের মধ্যে ৬টি খণ্ড এবং গজ (হাতি) চিহ্নিত একটি রাজকীয় সীলমোহর পাওয়া গেছে। টেংরার রাজবাড়ির ভগ্নাবশেষ।

বিয়ানীবাজার প্রতিরোধ যুদ্ধ : বিয়ানীবাজার থানায় সব চেয়ে বেশী সময় ধরে প্রতিরোধ যুদ্ধ চলে মুড়িয়া হাওড়ের পূর্ব তীরে সারপার এলাকায়। টানা ১৪ দিন পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে মুক্তি বাহিনী। অবশেষে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এখানে । তবে পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে মৃতের সংখ্যা ছিল অনেক বেশী। জুলাই মাসে সংগঠিত হওয়া এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ৫ বর্গ মাইল এলাকা নিজেদের দখলে রেখে মাতৃভুমিতে যুদ্ধ করে।

তারও আগে মে মাসে সুতারকান্দি সীমান্তে যুদ্ধ হয় পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে । ২৫ জুন মুক্তিবাহিনী থানা সদরে প্রবেশ করে এবং সার্কেল অফিসারের কার্যালয়ে গ্রেনেড হামলা করে আবার নিরাপদে প্রস্থান করে। ১২ জুলাই ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল খসিবের সেতু ধ্বংস করতে আসে। উদ্দেশ্য ছিল সিলেটের সঙ্গে বিয়ানীবাজারের বিচ্ছিন্ন করা । কিন্তু বিস্ফোরণ ঘটানোর আগেই আবদুল বাতেন তাফাদার গুলি ছুড়লে পাকিস্তানী বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। তাই তাড়াহুড়া করতে গিয়ে আহত হন আহবাব আহমদ। তারপর তারা ৪জন রাজাকারকে ৪টি রাইফেল সহ আটক করে ভারতে নিয়ে যান।

অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী থানা সদরের ডাকবাংলোর পিছনে, থানা চত্বরে এবং বর্তমান শহীদ টিলা নামক স্থানে বহুলোককে ধরে এনে হত্যা করে।

বধ্যভূমি : মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমি ৪ (উপজেলা সদরের ডাকবাংলোর পিছনে, থানা চত্বর, শহীদ টিলা, সারপার ক্যাম্প)।

স্মৃতিস্তম্ভ:  সিএন্ডবি রাস্তার গণকবর। মুক্তিযুদ্ধের পরে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। এটি শহীদ টিলা নামে খ্যাত।

বিয়ানীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতি সৌধ :  ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ বিয়ানীবাজার থানার মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসীর স্মরণে সিলেট থেকে বিয়ানীবাজার থানা সদরের প্রবেশ পথে একটি টিলার উপর নিমিত হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতি সৌধ।  মুল সড়ক থেকে বাম দিকে ১১ টি প্রশস্ত সিঁড়ি বেয়ে ২৭ ফুট উচ্চ টিলার উপরে উঠলে হাতের ডান পাশে ‘ কেন্দ্রী শহীদ স্মৃতি সৌধ বিয়ানীবাজার’।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান :  মসজিদ ৩৮৮, মন্দির ১৯, তীর্থস্থান ১, মাযার ৭।

উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: পাতন বাঘমারা জামে মসজিদ (সপ্তদশ শতাব্দী), গোলাব শাহের মাজার (বাস্বা ‘ইমামবাড়ী’ নামে পরিচিত), শ্রী শ্রী কালীমন্দির, শ্রী শ্রী মহাপ্রভু বিগ্রহ আখড়া (জলঢুপ)।

শিক্ষার হার : গড় হার ৫২.৫২%; পুরুষ ৫৫.৬০%, মহিলা ৪৯.৬০%।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৪, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৩৪, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৬, কিন্ডার গার্টেন ৪, মাদ্রাসা ৩৪৫।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: লাউতা উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৭১), খাসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৯৫), জলঢুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৯), পঞ্চখন্ড হরগোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৭)।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা : বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড,

দর্শনীয় স্থান : বার হালের দিঘি, রাজা মহিপালের রাজ প্রাসাদ, অধ্যাপক জিসিদেবের পৈত্রিক ভিটা, বাসুদেব মন্দির

মাজার :গোলাবশাহ মাজার।

হাটবাজার ও মেলা : হাটবাজার ৩৮, মেলা ৩। বিয়ানীবাজার, মাথিউরা (ভাটার) বাজার, বৈরাগী বাজার, জলঢুপের থানা বাজার এবং বাসুদেব বাড়ির রথ যাত্রার মেলা, বারুণী মেলা, দেউলগ্রাম আখড়ার মেলা উল্লেখযোগ্য।

খনিজ সম্পদ :  প্রাকৃতিক গ্যাস।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র : উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৪, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৫।

লেখা :শাহাবুদ্দিন শুভ

তথ্য সূত্র :
১. উইকিপিডিয়া
২. জেলা তথ্য বাতায়ন
৩. বাংলাপিডিয়া
৪. বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা সিলেট, জুন ২০১৪, বাংলা একাডেমী পৃষ্ঠা ৩৬,৩৭
৫. শ্রী হট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ – অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি, পৃষ্ঠা ৩৮,৩৯ প্রকাশক – মোস্তফা সেলিম, উৎস প্রকাশন ২০১৭
৬. মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস, – সিলেট, লে. কর্ণেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক, বাংলা একাডেমী, এপ্রিল ২০১৮ পৃষ্ঠা ৫৯, ২৯২
৭. সিলেট বিভাগের প্রশাসন ও ভূমি ব্যবস্থা ,মোঃ: হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, সেপ্টেম্বর ১৯৯৮, পৃষ্ঠা ৭১,
৮. জনসংখ্যা ২০০১ সালের শুমারী অনুযায়ী
৯. স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য: তথ্য বাতায়ন ২০.০৮.২০১৯
১০. আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বিয়ানীবাজার উপজেলার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০১০।
১১. বাংলাদেশ ভ্রমণ সঙ্গী, মোস্তাফা সেলিম, ২য় সংস্করণ ২০১৩, পৃষ্ঠা ২০৩
১২. বাংলাদেমের স্বাধীনতা যুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর ৪, মার্চ ২০০৬, পৃষ্ঠা ৫৮, ৫৯
১৩.বিয়ানীবাজারের মানচিত্র বাংলা পিডিয়া থেকে

About শাহাবুদ্দিন শুভ

Read All Posts By শাহাবুদ্দিন শুভ

2 thoughts on “বিয়ানীবাজার উপজেলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *