লোভা নামে নদীটি সীমান্ত নদী। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার একেবারে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকায় খাসিয়া-জৈইন্তা পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে বালুভরা বেশ কিছু স্বচ্ছ পানির নদী। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে লোভাছড়া নদী। নদীর প্রতি আমাদের সবারই রয়েছে অসম্ভব টান। এই নদী ভারতে উৎপত্তি লাভ করে সিলেট জেলাধীন কানাইঘাট উপজেলার পূর্ব লক্ষ্ণীপ্রাসাদ ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কানাইঘাট উপজেলার পশ্চিম দিঘিরপাড় ইউনিয়ন অবধি প্রবাহিত হয়ে সুরমা নদীতে পতিত হয়েছে। নদীটির পানি প্রবাহ পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে । নদী ভাঙ্গনের কারণে এর প্রশস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পলি পড়ে নদীর তলদেশ ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীটি সারা বছরই নৌচলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে নদীর দুতীর উপচে প্লাবনভুমিতে পানি প্রবাহিত হয়। নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের সেচ এ নদীর পানি ব্যবহার করা হয়।
উৎস : ভারত
লোভা নদীর তীরবর্তী বাজার সমূহ : প্রযোজ্য নয়
প্রবাহিত জেলা : সিলেট
প্রবাহিত উপজেলা : কানাইঘাট
নদীর দৈর্ঘ্য : ৯ কিলোমিটার
প্রশস্ত : গড় ১৮৯ মিটার
অববাহিকার আয়তন : পাওয়া যায়নি
প্রকৃতি : সরলাকৃতির
বন্যা প্রবণতা : বন্যা প্রবণ
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ : প্রযোজ্য নয়
অববাহিকার প্রকল্প : নালুয়া হাওর ব্যবস্থা ও জামখোলা হাওর প্রকল্প
পানি প্রবাহের পরিমাণ : পাওয়া যায়নি
নৌ-রোড : নদীটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃক নির্ধারিত নৌ রোডের তথ্য উল্লেখ্য নেই।
নদী নং : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক ধলা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৭৬ ।

তথ্যসূত্র
১. বাংলাদেশের নদনদী বর্তমান গতিপ্রকৃতি, মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, কথা প্রকাশ, আগস্ট ২০১৯, পৃষ্ঠা ২২২
৩. বাংলাদেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড ওয়েবসাইট ০৬.১০.২০১৯
৪. জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ওয়েবসাইট ০৬.১০.২০১৯
৫. লোভাছড়া নদীর ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত







