একসময় নদীটিতে একদম পানি ছিল না বা তেমন পানি প্রবাহ না থাকায় মরা নদী / মরা সুরমা নামে ডাকা হতো। নদীটির উৎসমুখ পুরাতন সুরমা নদী দিরাই উপজেলা থেকে বের হয়ে শাল্লা, খালিয়াজুড়ি, ইটনা প্রভৃতি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অত:পর কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনায় ধনপুর খালে পড়েছে। নদীর পাড়ে অবস্থিত রাজনগর, চরনাচর, কৃষ্ণপুর গুরুত্বপূর্ণ বাজার।
নদীর দৈর্ঘ্য ৩৪ কিমি , প্রস্থ ৬৫ মিটার, গভীরতা ৯ মিটার, । অববাহিকার আয়তন ১৮০ বর্গ কিমি।
নদীতে সারা বছরই পানি প্রবাহ থাকে । জানুয়ারি – ফেব্রুয়ারি মাসে শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহের পরিমাণ ১৫ ঘন মিটার/ সেকেন্ড পৌঁছায়। তখন গভীরতা দাঁড়ায় ১৫ ঘন মিটার / সেকেন্ড। বর্ষাকালে জুলাই-আগস্ট মাসে পানি প্রবাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ৭৭০ ঘন মিটার /সেকেন্ড তখন গভীরতা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৯ মিটার ।
সম্পূর্ণ জোয়ার ভাটা প্রবাহ মুক্ত এই নদী সাধারণত বর্ষাকালে বন্যা হলেই নদী প্লাবিত হয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক মরা সুরমা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৬৭।
মরা সুরমা নদীর তীরবর্তী বাজার সমূহ :
রাজনগর, চরনাচর, কৃষ্ণপুর
নদীর দৈর্ঘ্য :
নদীর দৈর্ঘ্য ৩৪ কিমি
অববাহিকার আয়তন ১৮০ বর্গ কিমি
পানি প্রবাহের পরিমাণ :
শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহের পরিমাণ ১৫ ঘন মিটার/ সেকেন্ড পৌঁছায়।
বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহের পরিমাণ ৭৭০ ঘন মিটার /সেকেন্ড
নৌ-রোড :
নদীটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃক নির্ধারিত ৪র্থ শ্রেণীর নৌ-পথ।
নদী নং :
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক বিবিয়ানা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৬৭ ।
তথ্যসূত্র
১. বাংলাদেশের নদীকোষ, ড. অশোক বিশ্বাস, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩০২–৩০৩।
২. বাংলাদেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড ওয়েবসাইট ০৬.১০.২০১৯
৩. জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ওয়েবসাইট ০৬.১০.২০১৯
৪. ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত