পাংথুমাই এক মায়াবি ঝর্ণা

শাহাবুদ্দিন শুভ :: মেঘালয় পাহাড় থেকে কল কল ধ্বনিতে নেমে আসছে জল রাশি। ভারতে সীমান্তে থাকা ঝর্ণাটির কাছে যেথে না পারলেও ৫০০ গজ দুর থেকে দেখতে পারবেন ঝর্ণাটি। মেঘালয় পাহাড়ের হাজার ফুট উচ্চতা থেকে এঁকে-বেঁকে নেমে আসা ঝর্ণাধারাটি পানি প্রবাহের স্থান দিয়ে তৈরি হয়েছে লেক। এই লেক গোয়াইনঘাটের পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পাংথুমাই গ্রামের পাশ দিয়ে পিয়াইন নদীতে গিয়ে মিশেছে। এই লেকটি আলাদা আকর্ষণ তৈরি করেছে জলপ্রপাতের। চাইলেই জলপ্রপাত দিয়ে নেমে আসা লেকের পানিতে গা ভিজিয়ে নিতে পারেন যে কেউ। আবার চাইলেই চড়তে পারেন ডিঙি নৌকায়। তাছাড়া পাংথুমাই যাওয়ার পথে সবুজে ঢাকা রাস্তা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাংথুমাই খাসিয়া শব্দ। এ এলাকায় একসময় ছিল খাসিয়াদের বসবাস। এখনো গ্রামের একটি অংশজুড়ে রয়েছে খাসিয়া বস্তি। পাংথুমাইর খাসিয়া সম্প্রদায়ের জীবন-যাপন এ এলাকার সৌন্দর্যকে আরও বর্ণাঢ্য করে তুলেছে।

যারা শব্দে মুর্হুতে মন ভাল হয়ে যাওয়ার আছে সব উপকরণ। চেয়ে থাকলে যেন চোখ ফেরানো যায় না। মনে হয় যদি
সারাক্ষণ বসে দেখা যেথ ঝর্ণাটি সাথে শব্দও। পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণাটি মিলেছে লেক এ। দেখলে মনে হবে সবুজের বুকে কেউ হয়তো বিছিয়ে রেখেছে সাদা শাড়ি। জল-পাহাড়ের এই মায়াময় দৃশ্য! সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার পাংথুমাইয়ে। ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা এই ঝর্ণাধারাটি স্থানীয়ভাবে মায়ামতি ও ফাটাছড়া ঝর্ণা হিসেবে পরিচিত। আর পর্যটকদের কাছে জলপ্রপাতটির পরিচিতি ‘পাংথুমাই ঝর্ণা’ নামে। জলপ্রপাতের সৌন্দর্যের টানে প্রতিদিন সেখানে ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক।

About শাহাবুদ্দিন শুভ

Read All Posts By শাহাবুদ্দিন শুভ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *