আবুয়া (নান্দিয়া গাং) :: এই নদী সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় যাদুকাটা-রক্তি নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করে এই জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বাউলাই নদীতে পতিত হয়েছে। এই নদীর জলধারা সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নে প্রবহমান জাদুকাটা-রক্তি নদী থেকে উৎসারিত। অতঃপর নদীটি একই জেলাধীন তাহেরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে বাউপাই (বালুয়া) নদীতে পতিত হয়েছে। ফতেহপুর ইউনিয়নে এই নদীর ডান তীর ভাঙনপ্রবণ । প্রশস্ততার দিক দিয়ে নদীর অবস্থান পূর্বের মতো হলেও পানির প্রবাহ পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে। নদীর উজানে এবং ভাটিতে গভীরতা অন্যান্য অংশের তুলনায় কম । নদীতে সারাবছরই প্রবাহ থাকে। তবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের শুকনো মৌসুমে প্রবাহ কমে ২০ কিউবিক মিটার/সে-এ গিয়ে দাঁড়ায়। তবে বর্ষা মৌসুমে তা বেড়ে ৫০০ কিউবিক মিটার/সে-এ পৌঁছায়। শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে যথাক্রমে গভীরতা ২ মিটার ও ৭.৫ মিটার। এই নদীতে জোয়ার-ভাটার কোনো প্রভাব নেই।
সারাবছর নদীতে পানির প্রবাহ থাকে এবং পার্শ্ববর্তী কৃষিজমিতে এই পানি সেচকাজে ব্যবহৃত হয়। সারাবছর নদীতে মালবাহী নৌকা ও ট্রলার চলাচল করে । বর্ষা মৌসুমে নদীর দুকূল উপচে পানি প্রবাহিত হয় । তবে পূর্বের তুলনায় নদীটি অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে ।
নদী সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক তথ্য
উৎসমুখ : নদী।
পতিতমুখ : নদী।
প্রবাহিত জেলা : সুনামগঞ্জ।
প্রবাহিত উপজেলা : বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ।
দৈর্ঘ্য : প্রায় ২২ কিলোমিটার ।
প্রশস্ততা : গড় ৮৪ মিটার।
প্রকৃতি : সর্পিলাকার।
প্রবাহের প্রকৃতি : বারোমাসি ।
জোয়ার-ভাটা : প্রভাবিত নয়।
বন্যাপ্রবণতা : বন্যাপ্রবণ।
অববাহিকার প্রকল্প : হালির হাওর প্রকল্প।
তীরবর্তী স্থাপনা : বেহেলিহাট।
ব্যারাজ বা রেগুলেটর : প্রযোজ্য নয়।
বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ : প্রযোজ্য নয়।
পরিচিতি : নং NE 02
লেখা : শাহাবুদ্দিন শুভ
তথ্যসূত্র :
১. বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ১৭১ ।
২. বাংলাদেশের নদ নদীর সংজ্ঞা ও সংখ্যা, সেপ্টেম্বর ২০২৩, পৃষ্ঠা ০৬
৩. বাংলাদেশের নদীকোষ, ড. অশোক বিশ্বাস, , গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৩১ ।
৪. ছবি ও মানচিত্র, সংগৃহীত।