বিজনা-গুঙ্গাইজুরি

মৃতপ্রায় এই নদী সিলেট জেলাধীন বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাইলানপুর ইউনিয়নে প্রবহমান কুশিয়ারা নদী হতে উৎপত্তি লাভ করে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার খায়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন অবধি প্রবাহিত হয়ে কুশিয়ারা নদীতে পতিত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে অষ্টগ্রামে কুশিয়ারা নদীটি মেঘনা নামেই বহুল পরিচিত। বিজনা-গুঙ্গাইজুরি নদীটি মুনমুখ ও খলিলপুর ইউনিয়নে শাখা বরাক নামে পরিচিত । শাখা বরাকের মুখে স্লুইসগেট থাকায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে এবং বর্ষা মৌসুম ব্যতীত অন্যান্য সময় পানি প্রবাহিত হতে পারে না। নদীটি
নভেম্বর মাসের দিকে একেবারেই শুকিয়ে যায়। বরাক নদীটি নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নে এসে বিজনা নামে এবং তেঘরিয়ার গঙ্গাজুরি হাওরের মধ্য দিয়ে গঙ্গাজুরি নাম ধারণ করে পুখরা ইউনিয়নে করাঙ্গি নদীর সাথে মিলিত হয়ে বালিয়াখাল নাম ধারণ করেছে। শুটকি নদী সুবিদপুর হতে রত্না নামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর
ইউনিয়নে এসে কুশিয়ারা নদীতে পতিত হয়েছে। বিজনা-গুঙ্গাইজুরির উৎপত্তিস্থল কুশিয়ারা হলেও সুইসগেট অকেজো হয়ে পড়ায় এই নদীতে পানির জোগান আসে
মূলত কোরাঙ্গি ও শুটকি নদী থেকে।

নদী সম্পর্কিত আরো তথ্য
উৎস :কুশিয়ারা নদী (বালাগঞ্জ, সিলেট)
পতিত মুখ : কুশিয়ারা নদী ( অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ)
প্রবাহিত জেলা: সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ
প্রবাহিত উপজেলা : বালাগঞ্জ, মৌলভীবাজার সদর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, অষ্টগ্রাম,
নদীর তীরবর্তী বাজার সমূহ : প্রযোজ্য নয়।
নদীর দৈর্ঘ্য : প্রায় ১১১ কিলোমিটার
প্রশস্ত : গড় ৯০ মিটার
অববাহিকার আয়তন : প্রযোজ্য নয়
প্রকৃতি : সর্পিল আকার
বন্যা প্রবণতা : বন্যা প্রবণ
প্রকল্প : শাখা বরাক প্রকল্প ও গাংজুড়ি উপ-প্রকল্প
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ : প্রযোজ্য নয়।
পানি প্রবাহের পরিমাণ :প্রযোজ্য নয়।
নৌ-রোড : প্রযোজ্য নয়।
নদী নং : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বিজনা-গুঙ্গাইজুরি
নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৫৮

লেখা: শাহাবুদ্দিন শুভ

তথ্য সূত্র :

১. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ২০৭ -২০৮ ।
২. বাংলাদেশের নদ নদীর সংজ্ঞা ও সংখ্যা, সেপ্টেম্বর ২০২৩, পৃষ্ঠা ৫৩
৩। মানচিত্র, সংগৃহীত ও গুগল ম্যাপ।

About শাহাবুদ্দিন শুভ

Read All Posts By শাহাবুদ্দিন শুভ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *