শাহাবুদ্দিন শুভ : সিলেটপিডিয়া ডটকম ( www.sylhetpedia.com ) নামে একটি ওয়েবসাইটের জন্য নদীর তথ্য হালনাগাদের কাজ করতে গিয়ে নজরে এলো সরকারি তথ্যে নদীর সংখ্যা ও নাম নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
যেমন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী মৌলভীবাজার জেলার নদীর সংখ্যা ৯টি। অন্যদিকে জেলা তথ্য বাতায়নের (moulvibazar.gov.bd) জেলা সম্পর্কিত মেনুর নদ-নদী সাব-মেনুতে ক্লিক করে দেখা যায়, মৌলভীবাজার জেলার নদীর সংখ্যা ৫টি। আবার ওয়েবসাইটেরই ‘এক নজরে জেলা’ পাতায় বলা হয়েছে এই জেলায় ‘প্রবাহিত নদীর সংখ্যা’ ৬টি।
তাহলে মৌলভীবাজার জেলায় প্রকৃত নদীর সংখ্যা কত?
জেলার বাতায়নের কণ্ঠিনালা নদীর নাম খুঁজে পাওয়া গেলেও নদী রক্ষা কমিশনের ৯টি নদীর নামের তালিকায় এই নামটি নেই। তবে জুড়ি নদীর নাম এই তালিকায় এসেছে। অপরদিকে জেলা তথ্য বাতায়নের নদ-নদীর বর্ণনায় এবং এক নজরে জেলার তথ্য অংশে কণ্ঠিনালার ও জুড়ি নদী আলাদা আলাদা করেই এসেছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন সময়ের খবরগুলোর অনুসরণ করে দেখা যায়, সেখানেও জুড়ি (জুড়ী বা জুরী বা জুরি নদী) ও কণ্ঠিনালা নদী আলাদা আলাদা করে গণ্য করা হচ্ছে।
তাহলে কণ্ঠিনালা নদীর নামটি নদী রক্ষা কমিশনের তালিকায় অনুপস্থিত কেন?
নদীর অস্তিত্ব এমনিতেই সঙ্কটের মুখে। তার উপর যদি নদীর সংখ্যা ও নাম নিয়ে এই তথ্যবিভ্রাট হয় তবে হারিয়ে যাওয়া, হারাতে বসা নদীগুলোও আমাদের গবেষণা ও জানা থেকে হারিয়ে যাবে।
মৌলভীবাজারের নদীর প্রকৃত সংখ্যা জানতে চাই এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থাগুলোর নদী নিয়ে তথ্যের মধ্যে সমন্বয় ও সামঞ্জস্য দেখতে চাই।
bdnews24.com, প্রকাশের তারিখ : ২২ জানুয়ারি, ২০২০